Top Social

মিষ্টি ভালবাসার গল্প

ভালোবাসার গল্পের সোনার দিনগুলো

Featured Posts Slider

ভালোবাসার গল্প ১২: ঘুড়ি ওড়াবার দিন

শুক্রবার
এই  নিয়ে  তিনবার  হল।  তিনবার  তিনরকম  ভাবে  চেষ্টা  করে  তাপস  বসে  পড়েছে ছাদের  মেঝেতে।  ঘুড়ি  ওড়েনি। 

"তুমি  ঘুড়ি  ওড়াতে  পারাে  না?”

`না।'   

‘এই  যে  বললে  ঘুড়িটা  উই  উঁচুতে  তুলে  দেবে?  দিচ্ছ  না  কেন?  ও  বাবা,  ও  বাবা - `

বিরক্ত  তাপস  এই  সকালবেলা  জীবনের  হাজারাে  অকৃতকার্যতার  সঙ্গে  আর  একটার  সংযােজন  করে  আরও  বিরক্ত  হল।  একটা  ঘুড়ি,  উড়ল  না।

ভালোবাসার গল্প ১১: সেই সময়

শনিবার
খবর  ছড়িয়ে  পড়ার  সঙ্গে  সঙ্গে  পাড়ার  লোকজন  নদী  পাড়ি  দিয়ে  পালাতে  শুরু  করল।  গ্রামের  দক্ষিণে  কর্ণফুলী,  পশ্চিমে  ও  উত্তরেও  খাল-কর্ণফুলী  পার  হতে  পারলে  বাঁচা  যাবে,  এরকম  বিশ্বাস  নিয়ে সবাই  পালাতে  শুরু  করল।  কিন্তু  মিলিটারির  নদী  পেরিয়ে  ওপারে  গেলে  তারপর  কি  হবে,  তারপর  তো  পাহাড়ের  রাজ্য  শুরু,  যুদ্ধ  আর  কতদিন  চলতে  পারে,  বঙ্গবন্ধু  কোথায়,  শত্রর  বিরুদ্ধে  অবরোধ  টিকবে কিনা—সে  সম্পর্কে  কারো  পরিষ্কার  ধারণা  নেই।  সবাই  একটা  আপাত-ব্যবস্থা  হিসেবে  পাকিস্তানি  বাহিনীর  তোপের  মুখ  থেকে  পালাতে  শুরু  করেছে।

ভালোবাসার গল্প ১০ : উল্কি

বৃহস্পতিবার
দীর্ঘ  কুড়ি  বছর  স্বেচ্ছানির্বাসনে  থেকে  কোব্বাদ  মিয়া  ডাক্তার  হয়ে  গ্রামে  ফিরে  এসেছে।  দেশে  ডাক্তারের  সংখ্যা  খুব  কম।  দু-দশ  গ্রামেও  একজন  এল.  এম.  এফ,  ডাক্তার  নেই,  গ্রামের  মানুষদের  ডাক্তারি বিধান  দেয়  কবরেজ-হোমিওপ্যথিরা।  তখন  দেশে  সবেমাত্র  ধনন্তরি  পেনিসিলিন  এসেছে।  হাতুড়ে  ডাক্তাররা  সাধারণ  জ্বর  ইত্যাদি  সব  রকম  রোগে  ঐ  পেনিসিলিন  দিতে  শুরু  করেছে।  গ্রামের  মানুষও  একদিনে  ভালো  হয়ে  মাঠে  চলে  যায়  কাজকর্মে।  সে-সময়  অদ্ভুত  স্বভাবের  কোব্বাদ  ডাক্তার  এসে  ডিসপেনসারি  খুলে  বসল  বাজারের  এক  মাথায়।  সারাক্ষণ  চুরুট  মুখে  থাকে,  আর  লোক  পেলেই  শুরু  করে  বকবক  গল্প।  

ভালোবাসার গল্প ৯: পাপ ও প্রায়শ্চিত্ত

বুধবার
ভোর  হতেই  পুটলিটা  গলির  মুখে  অবির্জনার  স্তুপে  পড়ে  থাকতে  দেখা  গেল।  প্রতিদিনের  মতো  ভোরের  কাকগুলো  রাস্তায়  নামল  খাবার  খুঁজতে।  মেথর-ঝাড়দাররা  ঝাড়,  ঠেলা  বালতি  নিয়ে  কাজে  নেমেছে,  রোজকার  মতো  শ্রাবণের  ভোর  থমথমে  মুখ  নিয়ে  আকাশে  ছড়িয়ে-ছিটিয়ে  আছে।  গলির  ওপারে  বড়  রাস্তার  পাশে  মাথা  উচু  করে  বঙ্কিমচন্দ্রের  পাগড়ির  মতো  মস্ত  বড়  জলের  ট্যাঙ্ক  চারদিক  তাকিয়ে  আছে।  পত্রিকা  নিয়ে  হকার  তখনো  পথে  নামে  নি।  কে  একজন  প্রাতঃভ্রমণ-বিলাসী  ছড়ি  হাতে  ক্যাবিশের  জুতাে  পায়ে  হনহন করে  গলি  থেকে  বেরিয়ে  গেল।  মতিঝিলের  বড়বড়  ইমারতগুলো  দিবিজয়ী  বীরের  মতো  বুক  টানটান  করে  মাথা  উচিয়ে  লুপ্তপ্রায়  ঝিল  ও  আশপাশের  বস্তির  ওপর  নজর  দিয়েছে।  

ভালোবাসার গল্প ৮ : বাঁধ ভাঙা জোয়ার

মঙ্গলবার
নদীর  ধারে  কুড়ে  ঘর।  বৃষ্টি  পড়ছে  অঝােরে।  সকাল  কি  দুপর  নাকি  সন্ধে  বােঝার  উপায়  নেই।  মাঝে  মাঝে  হাওয়ার  দাপটে  কনকনে  ঠাণ্ডা  নমিছে।  নদীর  ওপার  থেকে  কে  একজন  ডাক  দিল,  পার  করে  দাও  মাঝি।  ও  মাঝি  ভাই,  পার  করে  দাও।

অঝোর  বৃষ্টির  শব্দ  ভেদ  করে  সেই  ডাক  কুড়েঘরের  লাজো  ও  রাজীর  কানে  আসে।  রাজী  ঘরের  ভেতরে  থেকে  লাজোকে  ডেকে  বলে,  কে  ডাকে,  এই  বাদলায়  কে  আবার  ঘাটে  আটকা  পড়ল।

ভালোবাসার গল্প ৭: আঙ্গুরনামা

সোমবার
পানি  পানি  পানি।    বােশেখ  পড়ার  মুখেই  পানির  অভাব  শুরু  হল।  প্রথম  প্রথম  সস্তায়  দু-এক  দিন,  তারপর  অবস্থা  একেবারে  আয়ত্ত্বের  বাইরে  চলে  যায়।  সারা  দিন  এক  ফোটা  পানি  নেই।  শুধু  খাওয়ার  পানিটুকু  জোগাড়  করলে  তো  চলে  না।  রান্নার  কাজে  কম  করে  দু-তিন  কলসি  লাগে।  তারপর  ধোয়া-মোছাতে  আরো  বেশি।  অাছে  চান  করা।    শৌচকর্মও  অপরিহার্য  কাজ।  চাল  ও  তরকারী  ধোয়ার  পানি  দিয়ে  টবের  গাছের  প্রয়োজন  মেটান  যায়।  কিন্তু  ঐ  পানি  দিয়ে  আবার  এক  প্রস্থ  থালা-বাসন  ধােয়ার  কাজ  সারতে  হয়।  এরপর  কাপড়  কাচার  কাজে  কত  লাগতে  পারে  তা  আপনারাই  ভেবে  বলুন।

ভালোবাসার গল্প ৫: উদ্ধার

রবিবার
২০০০  সাল।  অনার্স  ফাইনাল  পরীক্ষা  দিয়ে  বাড়ি  এসেছি।  বন্ধুদের  সঙ্গে  মাতাল  সময়  কাটিয়ে  যাই  যাই  করেও  কেন  জানি  যাওয়া  হচ্ছে  না।  এমন  সময়  এলাকার  কিছু  ছোট   ভাই  এক  বন্ধুর  মাধ্যমে  জানালাতে ,  বানিয়াশান্তায়  (পতিতা  পল্লী)  একটা  নতুন  মেয়েকে  এনে  জোর  করে  দেহ  ব্যবসায়  বাধ্য  করেছে।  মেয়েটির  নাম  সাথী।  বাড়ি  নারায়ণগঞ্জ।

ভালোবাসার গল্প ৬: অনন্ত চেতনা

ভাই...

পৃথিবীতে  আমার  কেউ  ছিল  না  বললে  ভুল  করা  হবে,  বলবাে  আমি  কারুর  ছিলাম  ।

ভালোবাসার গল্প 8: রক্তকরবী ফুল

শনিবার
মালীবাগের মোড়ে পৌছতেই ওর সঙ্গে দেখা।  দেখেই মনে হল স্কুলের ছাত্রী।  হাল্কা-পাতলা গড়ন, শাদা সালোয়ার-কামিজ গায়ে।  হাতে পাটের থলেভর্তি বইপত্র, বেণীও বেঁধেছে।  বেশ ঘন ও দীর্ঘ চুল।  তার শরীরের তুলনায় চুল বড় ও সুন্দর, ভুরুও কালো এবং ঘন।

ভালোবাসার গল্প ৩: হৃদয়ের কথা কে শোনে

শুক্রবার
অামার লাল রুমালের পাশে শচীর দেওয়া গােলাপী রুমালটি রাখলাম।  পেছনের বা পকেটে রাখাই আমার অভ্যেস।  নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করে সমস্ত ঘটনাটা একবার ভেবে নিলাম।